খেলাধুলা ডেস্ক: অনেকটা আগের দিনের মতোই। একজন করলেন সেঞ্চুরি, সম্ভাবনা জাগিয়ে পারলেন না আরেকজন। প্রথম দিনে সেঞ্চুরি করেছিলেন সাদমান ইসলাম, সাইফ হাসান ফিরেছিলন ৯৪ রানে। দ্বিতীয় দিনে সেঞ্চুরি করেছেন মার্শাল আইয়ুব। নিজের শততম প্রথম শ্রেণির ম্যাচে শতরানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন মোশাররফ হোসেনও। কিন্তু থামতে হলো সঙ্গীর অভাবে।
ব্যক্তিগত প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি মিলিয়ে অবশ্য দল গড়েছে বড় স্কোর। বিসিএলের চতুর্থ রাউন্ডের দ্বিতীয় দিনে বুধবার বগুড়ায় প্রথম ইনিংসে ৫২৯ রান তুলেছে মধ্যাঞ্চল। শেষ বেলায় ১ ওভার ব্যাটিং করে রান করতে পারেনি উত্তরাঞ্চল, হারায়নি উইকেট।
আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মাহমুউল্লাহ ও মার্শাল শুরু করেছিলেন দিনের খেলা। এদিন আর খুব বেশি দূর এগোতে পারেনি এই জুটি। মাহমুদউল্লাহকে ২৬ রানে ফেরান আরিফুল হক। ওই ওভারে ফিরিয়ে দেন তিনি নতুন ব্যাটসম্যান ইরফান শুক্কুরকেও।
তবে উত্তরাঞ্চলের ম্যাচে ফেরা হয়নি। ষষ্ঠ উইকেটে তানবীর হায়দারকে নিয়ে ১০৮ রানের জুটি গড়েন মার্শাল। ৪৬ রানে তানবীরের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি।
তানবীর হাফসেঞ্চুরি না পেলেও মার্শাল ঠিকই পৌঁছে যান সেঞ্চুরিতে। স্টাইলিশ এই ব্যাটসম্যান প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ষোড়শ সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন ১৬৬ বলে। সপ্তম উইকেটে মোশাররফের সঙ্গে মার্শালের জুটি ৬৭ রানের। এই জুটিতে ভাঙন ধরান সেই আরিফুলই। ফেরান ১৪ চার ও ১ ছক্কায় ১৩২ রান করা মার্শালকে।
এরপর লোয়ার অর্ডারদের নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন মোশাররফ। নবম উইকেটে আবু হায়দার রনিকে নিয়ে তোলেন ৩০ রান। এমনকি শেষ জুটিতে এবাদত হোসেনকে নিয়েও গড়ে ৫৯ রানের জুটি।
নিজে মাত্র ১২ রান করলেও মোশাররফকে ভালো সঙ্গ দিচ্ছিলেন এবাদত। তবে থাকতে পারেননি মোশাররফের তিন অঙ্কে পাওয়া পর্যন্ত। আউট হয়ে যান ফরহাদ রেজার বলে। মোশাররফ তখন অপরাজিত ১৩ চারে ৮৩ রান করে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
মধ্যাঞ্চল ১ম ইনিংস: ১৭৪.১ ওভারে ৫২৯ (আগের দিন ২৪৯/৩) (মার্শাল ১৩২, মাহমুদউল্লাহ ২৬, শুক্কুর ০, তানবীর ৪৬, মোশাররফ ৮৩*, শরীফ ৭, আবু হায়াদার ৭, এবাদত ১২; ফরহাদ রেজা ১/৬৮, শরিফুল ২/৯৬, তাইজুল ০/১৪৬, আরিফুল ৪/৭৯, সানজামুল ২/১২৭)।
উত্তরাঞ্চল ১ম ইনিংস: ১ ওভারে ০/০